Daily
মোটে মা রাঁধে না। তাতে আবার তপ্ত না পান্তা। কোভিড বিধ্বস্ত ভারতীয় অর্থনীতিতে চাহিদা বজায় রাখা যেখানে সরকারের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ সেখানে আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ তো আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মত।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার সরকারের প্রোজেক্টেড বৃদ্ধির সঙ্গে মিলল না।
গত আর্থিক বছরের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জিডিপি রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল। এবার সেই প্রচারে বেলুনে পিন ফুটিয়ে দিল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে ১১ শতাংশেরও কম।
কেন্দ্রীয় সরকার আশা করেছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিয়ে বৃদ্ধি পার করে যাবে ১১ শতাংশেরও বেশি। কিন্তু বাস্তবে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সেই বৃদ্ধি আসবে না বলেই মনে করছেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক।
যদিও কয়েকদিন আগে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পূর্বাভাস দিয়েছিল চলতি আর্থিক বছরে বৃদ্ধি গিয়ে দাঁড়াবে ৯.৫ শতাংশের কাছাকাছি। বাস্তবিকই সরকারি দাবির সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দাবির ফারাক রয়েছে অনেকটাই।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক মনে করছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে উঠলেও পরিষেবা, পরিকাঠামোগত সংস্কার এবং ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে পরিত্রাণের প্যাকেজ এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পৌঁছয়নি বলেই শিল্পক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে গভীর মন্দা। এই মন্দাই থাবা বসিয়েছে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিতে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক যখন ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমার কারণ বিশ্লেষণ করছেন তখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শশীকান্ত দাস একইরকম ভাবে পরিকাঠামো, পরিষেবা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপুল সংস্কারের কথা বলছেন।
দেশীয় বাজারে বিশেষ করে পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিতে যত তাড়াতাড়ি চাহিদা বৃদ্ধি পাবে ততই ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। তাই পরিসংখ্যানের বিচারে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে যারা লাফিয়ে ছিলেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট তাদের মুখের উপর জোরালো প্রতিবাদ বলেই মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
ব্যুরো রিপোর্ট