Daily
অতিমারির পর থেকে তো বটেই। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় থেকেই ভালো রকম লাভের মুখ দেখতে চলেছেন ধনকুবের গৌতম আদানি। সমুদ্র বন্দর, জ্বালানি বা বিমান বন্দরের ব্যবসা এই কঠিন সময়েও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ। হালে আদানি গ্রুপের হাতে এসেছে সিমেন্ট ব্যবসা সহ অপ্রচলিত শক্তি। এবার নিজেদের ব্যবসাকে আরও বিস্তৃতি ঘটানোর জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে নজর দিতে চলেছেন গৌতম আদানি। শুনতে পাওয়া যাচ্ছে, বেশ কিছু বড় হাসপাতাল, ওষুধের দোকান এমনকি রোগীদের পরীক্ষাকেন্দ্র কিনে নিতে পারে আদানি গ্রুপ। আর এই গোটা বিষয়টাই নজরে রাখবে আদানি হেলথ ভেঞ্চার্স বা এএইচভিএল। আর স্বাস্থ্য পরিষেবায় নামার জন্য আদানি গোষ্ঠী বিনিয়োগ করতে পারে প্রায় ৩১,১০০ কোটি টাকা।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ সংস্থা এইচএলএল লাইফকেয়ারের বেসরকারিকরণের ব্যপারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এই দৌড়ে একেবারে সামনের সারিতেই রয়েছে আদানির নাম। সরকারি সূত্র থেকে ইঙ্গিত, ইতিমধ্যেই এইচএলএল লাইফকেয়ার কেনার জন্য সরকারের কাছে দরপত্র জমা পড়েছে সাতটি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই কারণেই আদানি গ্রুপ স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে ঝুঁকতে চায়?
উল্লেখ্য, রিলায়েন্স বেশ কিছুদিন আগেই মেডিকেল সেক্টরে আত্মপ্রকাশ করেছে। ওষুধের দোকান নেটমেডসের অধিকাংশ শেয়ার এখন রিলায়েন্সের দখলে। এরপরেই ওষুধের ব্যবসায় নাম লেখায় টাটা গ্রুপ। তারাও সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে এবং ভালো রকম লাভের মুখ দেখছে। এতোদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিষেবায় রিলায়েন্স বা টাটা ছাড়া ময়দানে নামতে দেখা যায়নি আদানিকেও। কিন্তু এবার মেডিকেল সেক্টরে নিজেদের ব্যবসায়িক সাফল্যকে আরও দীর্ঘ করতে চাইছে আদানি গ্রুপ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আদানি গ্রুপ এই সেক্টরে নামলে সেক্ষেত্রে কড়া প্রতিদ্বন্দিতা তৈরি হবে আদানি, অম্বানি এবং টাটার মধ্যে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ