Daily

অব্যাহত হিংসা, অশান্তি। শেষ হল পঞ্চম দফার নির্বাচন। উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলি।
বিধাননগরে যেমন বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচীকে ঘিরে তৈরি হল বিক্ষোভ তেমনই মেমারিতে ভোটারদের দেওয়া হল হুমকি। চাকদায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূলকে যেমন হামলা করতে দেখা গেল তেমনই বরানগরে তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্রকে শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। একদিকে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল শান্তিপুর তো দফায় দফায় বিক্ষোভ, অশান্তি দেখল বর্ধমান। আরিয়াদহে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী মদন মিত্রকে পড়তে হল হেনস্থার মুখে তেমনই কামারহাটিতে আক্রান্ত হলেন রাজু ব্যানারজি। বসিরহাটেও বিজেপি কর্মী ভোট দিতে গেলে মারধর করে একদল দুষ্কৃতি। অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ওদিকে দেগঙ্গায় শাসক শিবিরের ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এলাকায় উপস্থিত হল বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পঞ্চম দফা ভোটে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সব মিলিয়ে সংঘর্ষের সাক্ষী থাকল পঞ্চম দফা। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কালিম্পঙে ভোট পড়েছে ৬৯%, দার্জিলিংয়ে ৭৪%, উত্তর ২৪ পরগনায় প্রায় ৭৫%, বর্ধমানে ৮১.৭২%%, জলপাইগুড়িতে ৮১.৭৩%।
সবমিলিয়ে বলাই যায়, এই দফাতেও অশান্তি এড়াতে পারল না নির্বাচন কমিশন। ভোটযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে বজায় থাকল অশান্তির ঐতিহ্য।