Daily
পেট্রোল-ডিজেলের পর ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধি ছ্যাঁকা দিয়েছে বাঙালির হেঁশেল। একে কার্যত বিধিনিষেধে অধিকাংশ মানুষ যখন গৃহবন্দী, ঠিক তখনই ভোজ্যতেলের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপনে ঘটিয়েছে ছন্দপতন।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট উৎপাদিত ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে ৬২ শতাংশ।
অনেকেই তাই ভাবছেন, তেলে তৈল মর্দনে বোধহয় এবার দাড়ি টানতে হবে।
সরষে, সয়াবিন ও সূর্যমুখী সহ বিভিন্ন ধরনের ভোজ্যতেলের খুচরা মূল্যে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি অর্থনীতির গতিপথকে কোন দিকে নিয়ে যাবে সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
আর্থিক পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ বছরের মধ্যে এবার প্রথম দেশে ভোজ্যতেলের খুচরা মূল্যে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সমস্ত রেকর্ড ভেঙেচুরে এক করে দিয়েছে।
আজ বুধবার সরষের তেলের খুচরা বিক্রয় মূল্য লিটার প্রতি ২০০ টাকা হয়েছে। যা কিনা গতবছরের দামের থেকে ৪০% বেশি। অথচ ২০২০ সালের জুন মাসে ভোজ্যতেলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১২০ টাকার আশেপাশে।
তৃণমূল, কংগ্রেস সিপিএম সহ দেশের সমস্ত বিরোধীদলগুলো ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আন্দোলনে নামার ভাবনা চিন্তা করছে। বিরোধীরা তো কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন, কোভিডের ব্যর্থতার পাশাপাশি মোদি সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ।
গতকাল চেতলায় কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী পেট্রোলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন তেলের যোগান ঠিকঠাক নেই তাই দাম বেশি। একে বিধিনিষেধ তার উপর রয়েছে গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। তাই দাম একটু বেশি লাগছে।
আর বাজার করতে আসা গৃহবধূদের বক্তব্য এবার ভাবনা চিন্তা করার সময় এসেছে নইলে সংসার চালানোয় যে মুশকিল হবে।
রোজকার দৈনন্দিন জীবনে অর্থনৈতিক টালমাটাল সামলে সংসার চালানো যে কি যন্ত্রনা তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভারতবর্ষের মানুষরা। সেই যন্ত্রণা থেকে আদৌ রেহাই মিলবে কিনা সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
কলকাতা থেকে মানুষ চৌধুরীর সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বিক্রম লাহার রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ।