Academy

জাতীয় শিক্ষানীতিকে অনুসরণ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট পরিষেবা শুরু করার উদ্যোগ নিল। এই ব্যাপারে আগামী ৫-৬ অক্টোবর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের সেনেট হলে আয়োজন করা হয়েছে একটি ওয়ার্কশপের। ওই দুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মোট প্রায় ১৬০ টি কলেজকে শ্লট অনুযায়ী উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা গেছে যে এই ওয়ার্কশপে অধ্যক্ষদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ট্রেনিং দিতে দিল্লী থেকে আসছেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় শিক্ষানীতিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য এবিসি অর্থাৎ অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট এর কথা বলা আছে। এই সিস্টেম যদি চালু হয় তাহলে এই বছরে যেসব স্টুডেন্টরা কলেজে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সে ভর্তি হয়েছেন তাদের জন্য একটি ব্যাঙ্ক খোলা হবে। এই ব্যাঙ্কে তার নম্বর, তার ক্রেডিট, তার যাবতীয় ডিগ্রি, সার্টিফিকেট, মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট জমা হবে। প্রতিটি পড়ুয়ার জন্য একটি করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোকে।
এই এবিসি সিস্টেমের অনেক সুবিধা রয়েছে। এতে একদিকে যেমন স্টুডেন্টদের যখন প্রয়োজন তখনি তারা আপলোড হওয়া দরকারি ডকুমেন্ট ডাউনলোড করতে পারবে। যদি কোন কারণে প্রয়োজনীয় কাজ বা অন্য কোথাও ভর্তির জন্য কোন ডকুমেন্টের কপি সঙ্গে নাও থাকে তাহলেও কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়া কলেজ পাশ করার পর উচ্চশিক্ষা বা কাজের ক্ষেত্রে নথি ভেরিফিকেশনের জন্য পড়ুয়াদের অনেক সময় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও অনেকসময় আসল নকলের পার্থক্য করতে পারে না। এই এবিসি চালু হলে এই ভেরিফিকেশন প্রসেস ও অনেক সহজ হয়ে যাবে।
কিন্তু এই এবিসি চালু করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটু দ্বিধাগ্রস্ত। প্রথমত আন্ডার গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মিলিয়ে কেবল প্রথম সেমেস্টারেই স্টুডেন্ট সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি। এতজনের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট কিকরে খুলতে হবে, কিকরে সেখানে জরুরি ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে সেই ব্যাপারগুলো এখনো বেশ ধোঁয়াটে। আবার এই এত এত পড়ুয়ার জন্য ভারচুয়াল স্পেস বা ক্লাউডে জায়গা কেনাও বেশ খরচ সাপেক্ষ।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ