Daily

মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। সর্ষের তেলের দাম এভাবে আকাশছোঁয়া হয়নি। নাভিশ্বাস ওঠেনি মধ্যবিত্তের। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির চাকা যে এভাবে ঘুরবে, কে ভাবতে পেরেছিলেন! নিমেষের মধ্যে দুই অঙ্ক থেকে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন অঙ্কে। বিপদ বুঝে অনেক সর্ষে কলের মালিকই পাত্তারি গুটিয়েছেন, শুরু করেছেন নতুন ব্যবসা। কিন্তু কি করবেন কর্মচারীরা?
আগে যেখানে তারা প্রতিদিন গড়ে ১-২ কুইন্টাল সর্ষে ভাঙতেন, এখন চার পাঁচদিন অন্তর ৪০-৪৫ কেজি হলে চালু হয় মেশিন। অর্থাৎ মাসে মেরেকেটে কাজ হয় ৬-৭দিন। আর এতে দু-পয়সা লাভ করা তো দূর, সর্ষে ভাঙার কলগুলো কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে। হুগলি জেলায় বেশিরভাগ সর্ষের কল বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। কারণ, সর্ষের চাষ কমেছে অভাবনীয়ভাবে। যেকয়টি সর্ষে ভাঙার কল খোলা, সেগুলি বাইরের রাজ্য থেকে আমদানি করছে কলের মালিকরা। আর দাম? আগের থেকে বেড়েছে ২.৫ গুন।
মূলত নিজেদের সংসারে তেলের যোগান বহন করার জন্যই সর্ষে চাষ করেন হুগলির চাষিরা। অতিরিক্ত সর্ষে বিক্রি করে দেন। কিন্তু সর্ষে বিক্রিতে লাভ কম। তাই বাধ্য হয়েই অন্য ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। অর্থকরী ফসল হিসেবে ঝোঁক বাড়ছে আলু চাষে। যদিও চাষিদের উৎসাহ দিতে এগিয়ে এসেছে হুগলি জেলার কৃষি দপ্তর। এখন সরকারি সহযোগিতা পেলে পরিস্থিতি বদলায় কিনা সেটাই দেখার। দুচোখে হতাশা জড়িয়ে দিনবদলের স্বপ্ন বুনছেন হুগলি জেলার সর্ষে চাষিরা।
ব্যুরো রিপোর্ট