Daily

কাঁচা পাটের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি আর বেআইনি মজুত রুখতে তড়িঘড়ি পণ্যের ঊর্ধ্বসীমায় দাম বেঁধে দিয়েছে জুট কর্পোরেশন। কাঁচা পাটের ঊর্ধ্বসীমায় দাম লাগু করা হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ৬৫০০ টাকা। আর এখানেই উল্টো সুর গেয়েছে চটকল মালিক সংগঠন। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এটাই কি সমস্যার সমাধান?
চটকল মালিক সংগঠন আইজেএমএ-র বক্তব্য, এতে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না। চাষীরা পাট চাষে উৎসাহ হারাবে। আর উৎসাহ হারালে উৎপাদনেও ঘাটতি কমবে। আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান যদিও উপায় একটা বাতলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কাঁচামালের দামের ঊর্ধ্বসীমা ছেড়ে দেওয়া হোক বাজারের হতে। বরং, চাষিদের থেকে কাঁচা পাট কিনে চটকলগুলিকে বিক্রির ব্যবস্থা করুক জুট কর্পোরেশন নিজে। যাতে বস্তা তৈরির ওই কাঁচামালের জোগান ঠিক থাকে। পাশাপশি, এই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা।
চটশিল্পের সাথে জড়িত একাংশের গলায় শোনা যাচ্ছে উল্টো সুর। তাদের মতে, পাটের ঊর্ধ্বসীমায় এভাবে দাম বেঁধে না দিলে বেআইনি মজুতদারি আরও বাড়বে। আর এই নির্ধারিত দাম পেলে আখেরে লাভ হবে চাষীদেরই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি পাটবর্ষে কাঁচা পাটের উত্পাদন খরচ পড়বে কুইন্টাল প্রতি ২৮৩২ টাকা। ন্যূনতম দাম ধার্য করা হয়েছে ৪৫০০ টাকা। আর ঊর্ধ্বসীমা ৬৫০০ টাকা। এতে চাষিদের মুনাফা কম তো হবেই না, বরং উপকৃত হবেন পাট চাষীরা।
ব্যুরো রিপোর্ট