Daily

পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় আর ধরা পড়ছে না ইলিশ। ছোট আকারের কিছু ইলিশ মিললেও রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যেই জাটকা বিক্রি বন্ধে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় চলছে অভিযান।
গত ১৪ জুন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে রাজ্য সরকার। কিন্তু জাটকা ইলিশ বিক্রি বন্ধে নজরদারি করছে মৎস্য দপ্তর। রাজ্যের বিভিন্ন মৎস্য আড়তে অভিযান শুরু করেছেন মৎস্য দপ্তরসহ প্রশাসনিক পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ডায়মন্ড হারবার, দীঘা, নামখানার বড় বড় মাছের আড়তগুলোয়তেও অভিযান চলছে।
সমুদ্রে দূষণ ও জলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ইলিশের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ইলিশের আশানুরূপ বৃদ্ধি হচ্ছে না। তা ছাড়া পমফ্রেট, ভোলা, ভেটকি, লোটে মাছও মিলছে না,ফলে অন্য মাছের বাজারও ফাঁকা। দীঘায় এখন ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ রুপি প্রতি কেজি। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ রুপিতে। আর ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ রুপি প্রতি কেজি। এদিকে জাটকা ইলিশ ধরা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ছোট ইলিশ ধরার ওপর এখনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কেউ এই ইলিশ ধরলে তাঁর ট্রলারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দীঘি, কুলতলী, পাথর প্রতিমা, সাগরদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, ফলতা, হরিরামপুর, সীতারামপুর ও নৈনান এলাকার কয়েক হাজার ট্রলার ইলিশ ধরতে সমুদ্রে পাড়ি দেয়। এ ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনারও সমুদ্র উপকূল এলাকার জেলেরাও ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যান।
ব্যুরো রিপোর্ট