দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ের পর অস্বস্তি বাড়ল অম্বানীর রিলায়েন্স গোষ্ঠীর। অন্যদিকে স্বস্তি পেল জেফ বেজোসের অ্যামাজন। ফিউচার গোষ্ঠীর মালিকানা নিয়ে অ্যামাজন এবং রিলায়েন্সের যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছিল, তার খানিক নিষ্পত্তি হল শীর্ষ আদালতের রায় অ্যামাজনের দিকে যেতেই।

গণ্ডগোলের সূত্রপাত যখন রিলায়েন্স ফিউচার গ্রুপ গত বছর বড় অঙ্কের বিনিময়ে কিনে নেয়। এদিকে ২০১৯ সালেই ফিউচার গ্রুপের ৪৯% শেয়ার কিনে নিয়েছিল অ্যামাজন। এই শেয়ার কেনার সময়েই অ্যামাজনের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রেস্ট্রিকটেড পার্সন লিস্টে নাম আছে এমন কাউকে ফিউচার তার স্বত্ব বিক্রি করতে পারবে না। কিন্তু দেখা যায়, অ্যামাজনের শর্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কার্যত রিলায়েন্সের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেয় ফিউচার গোষ্ঠী। এরপরেই অ্যামাজন আদালতের দ্বারস্থ হয়। কারণ এই রেস্ট্রিকটেড পার্সন লিস্টে নাম ছিল রিলায়েন্সের।

গত বছর সিঙ্গাপুর আদালতে এই মামলা উঠলে সেই দেশের আদালত জানিয়ে দেয়, অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি থাকার কারণে ফিউচার গ্রুপ রিলায়েন্সের সঙ্গে জোট বাঁধতে পারবেনা। যদিও সিঙ্গাপুর আদালত এখনও এই বিষয়ে কোন চূড়ান্ত রায় দেয়নি, তবে তার আগেই ভারতের শীর্ষ আদালত রায়দান দিয়ে দিল। এখন অম্বানী এবং জেফ বেজোসের মধ্যে কার কোর্টে শেষ বল যায় সেটাই দেখার।

ব্যুরো রিপোর্ট