Trending

ইন্দি, চিনি ভাই ভাই
যা ইচ্ছে হয়ে যাক
ট্রেডিং কিন্তু হওয়া চাই…
তাই না?
সীমান্তে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। এদিকে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কেউ কাউকে ছাড়তে রাজি নয়। ভারত এবং চিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক যে জায়গায় পৌঁছচ্ছে তারপর আমেরিকার অস্বস্তি বাড়বে বৈ কমবে তো নাই। তারপরে প্রশ্ন তৈরি হয়, তাহলে কি সত্যিই চিন এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত উত্তপ্ত হওয়াটা কোনভাবেই বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলে না? কারণটা কি জানেন? আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিয়ে ফের ভারতের সর্ববৃহৎ ট্রেডিং পার্টনার হয়ে উঠল চিন। এমনটাই বলছে, গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ। বলা হচ্ছে, টানা ২ বছর আমেরিকা ভারতের সবথেকে বড় ট্রেডিং পার্টনার থাকলেও এবার সেই জায়গা দখল করে নিল বেজিং।
জিটিআরআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারত এবং চিনের ব্যবসায়িক সম্পর্কের অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে ১১৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ভারতীয় টাকায় যা দাঁড়ায় ৯ লক্ষ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। আমদানির অঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে ৩.২৪ শতাংশ অন্যদিকে রফতানির অঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮.৭ শতাংশ। আর এই অঙ্কটা এতটা বৃদ্ধি পাবার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নড়েচড়ে বসেছে আমেরিকা। কারণ ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে সেক্ষেত্রে ২০২৪ এ বাণিজ্য হয়েছে ১১৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা। ভারত রফতানি কমিয়েছে ১.৩২ শতাংশ এবং আমদানি কমিয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক সীমান্তে উত্তেজনা ছাড়াও ব্যবসায়িক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার পাশাপাশি চিন এবং রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য কেমন হচ্ছে সেটা দেখতে চেয়েছিল পশ্চিমা বিশ্ব। গেল ২ বছর আমেরিকা ভারতের সর্ববৃহৎ ট্রেডিং পার্টনার হয়ে ওঠায় পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলো কার্যত খুশির মেজাজে ছিল। কিন্তু ভারত যে চিন এবং রাশিয়ার সঙ্গে চুটিয়ে ব্যবসা করছে সেই দিকটাতেও নজর ছিল বাকি দেশগুলোর। ফলে সীমান্তে সংঘর্ষ হলেও ভারত এবং চিন যে সবথেকে বড় ট্রেডিং পার্টনার সেটা বর্তমান বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ