Daily

স্বজনহারাদের কান্নার রেশ মিলিয়ে তো যায়ই নি বরং আরও বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। ২০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের পুড়ে মৃত্যু এখনও যেন মেনে নিতে পারছে না বাংলাদেশের মানুষ। যে কারখানায় শয়ে শয়ে শ্রমিক কাজ করতেন সেই কারখানার এক একটি ফ্লোরের আয়তন ৩৫ হাজার ফুটেরও অধিক। কেন পুড়ে মারা যেতে হল এই দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমিকগুলোকে? এর পিছনে কি তবে রয়েছে চরম অবহেলারই একটি প্রতিচ্ছবি?
ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেনশাহ আজাদ, হাসীব বিন হাসেম এবং তারেক ইব্রাহীম। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে গুলশানের নিজের বাড়ি থেকেই আটক করা হয়েছে আবুল হাশেমকে। প্রত্যেককেই নিয়ে আসা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জড়িত কাউকেই রেয়াত করা হবেনা। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হতাহত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, ঘটনায় নিহত ৫২ জনের পরিচয় জানতে সময় লাগবে ন্যূনতম একমাস।
ঋদি হক, ঢাকা