Daily
ভোট সপ্তমীতেও বহাল থাকল অশান্তি। আজ রাজ্যের পাঁচ জেলায় শেষ হল ২৬৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা। ৩৪টি কেন্দ্রে নির্বাচনী উত্তাপকে সামাল দিতে ময়দানে নামানো হয় ৬২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সপ্তম দফার নির্বাচনে লড়াই হল একাধিক হেভিওয়েট এবং তারকাপ্রার্থীর মধ্যে। আজকের নির্বাচনী ময়দানে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিলেন ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সায়নী ঘোষ।
এদিনও সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় ইভিএম মেশিন খারাপের অভিযোগ উঠে এসেছে। কখনও বালুরঘাট তো কখনও আসানসোল। কখনও মুর্শিদাবাদ তো কখনও দক্ষিণ দিনাজপুর। ভোট দিতে এসে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হল ভোটারদের।
এছাড়া হিংসা, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ সবই অব্যাহত থাকল এই দফাতেও। তবে এবারে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি জায়গাতে তৃণমূল অভিযোগ তুলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওদিকে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে যেমন বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেল তেমনই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বুথে ঢুকতে বাধা দেবার খবরও উঠে এলো এই দফায়।
বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৮০.৩০%, দক্ষিণ কলকাতায় ৫৯.৯১%, পশ্চিম বর্ধমানে ৭০.৩৪%, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৮০.২১% এবং মালদায় ৭৮.৭৬%।
বাকি আর মাত্র এক দফা। সাতটি দফাতেও পালটাল না অশান্তির ছবি। এদিকে করোনার চোখরাঙানির মধ্যে আট দফার নির্বাচনের জন্য তোপের মুখে পড়ল কমিশন। ২মে ভোট গণনা স্থগিত রাখার কথাও শুনিয়ে রেখেছে হাইকোর্ট। সব মিলিয়ে জোড় টানাপোড়েনের মধ্যেই শেষ হল সপ্তম দফা।
দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শিবশংকর চ্যাটার্জীর সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান থেকে সৌমিত্র গাঙ্গুলি এবং মুর্শিদাবাদ থেকে সঞ্জয় চৌধুরির সঙ্গে মালদা থেকে প্রশান্ত দাস ও কলকাতা থেকে মানস চৌধুরির রিপোর্ট