Trending
রাজ্যে বিনিয়োগ হচ্ছে না?
বিজিবিএস করেও আর্থিক ভাগ্য সেই গোঁত্তা খাচ্ছে?
তাহলে কি আর শিল্পের জন্য বাংলা উর্বর জমি নয়?
অবশ্যই। না হলে পুরুলিয়ার প্রোজেক্টটা নিয়ে কথা বলতে আসতাম না।
রাজ্যের পিছিয়ে পড়া জেলা পুরুলিয়ায় হচ্ছে বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ
হবে বিপুল কর্মসংস্থান
বদলে যাবে পুরুলিয়ার অর্থভাগ্য
হ্যাঁ, আর সেই কাজ করতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কিভাবে? বলব আপনাদের এই প্রতিবেদনে।
বিজিবিএসে যোগ দিতে দেশ বিদেশের শিল্পপতিরা আসেন, শুধু শিল্প আসে না। মমতার সরকারকে এভাবেই কটাক্ষ করে এসেছে বিরোধীরা। কিন্তু বিজিবিএস কখনোই আশ্চর্য প্রদীপ নয়। যে প্রদীপের গায়ে ঘষা দিলেই বিনিয়োগ-টিনিয়োগ নিয়ে কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। কিছু কার্যকর হয়, কিছু হয় না। তবে একটা কথা বলি। বাংলা ছাড়া দেশের সকল রাজ্যে বিনিয়োগ হচ্ছে, আর বাংলায় শিল্প হচ্ছে না, এটা একেবারেই ভুল। সেই প্রমাণ করছি এখন। মন দিয়ে শুনবেন, পুরুলিয়াতে চালু হবার কথা জঙ্গল সুন্দরী প্রোজেক্ট। এই জঙ্গলসুন্দরী আসলে শিল্পনগরী, যেটা গড়ে তোলা হবে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে। তার জন্য বিনিয়োগ হতে পারে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব তৈরির জন্য জমি লাগতে পারে প্রায় ২ হাজার ৮৪৩ একরের মত। জানা যাচ্ছে, কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব মানেই বিনিয়োগ। সেটা ছোট হোক বা বড়। তাহলে শুরু করা যাক ছোট বিনিয়োগ দিয়েই। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে ৮০০ একর জমির উপর তৈরি হবে রেশমি স্টিলের ফ্যাক্টরি। সঙ্গে তৈরি হবে ক্যাপ্টেন স্টিলের ফ্যাক্টরি। এই ফ্যাক্টরির জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে ৩০০ একর মত। এছাড়া মাইথন স্টিল, বিকাশ মেটাল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানা যায়। এবার আসা যাক বিশাল বিনিয়োগের খবরে। তাহলেই প্রথমেই বলা যাক, শ্যাম স্টিলের কথা। ৬০০ একর জমির ওপরে এই ফ্যাক্টরি তৈরি করা হবে বলে সূত্রের খবর। তার জন্য লগ্নি প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, রঘুনাথপুরের শিল্পনগরীতে ডিভিসি তাদের থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের আরও সম্প্রসারণ ঘটাবে। আর বিনিয়োগের অঙ্কটা কত জানেন? প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। মনে করা হচ্ছে, ২৫০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এছাড়া বেশ কিছু কোম্পানি মোটা অঙ্ক বিনিয়োগ করেছে, সবমিলিয়ে কর্মসংস্থান নিয়ে যে দুশ্চিন্তা ছিল সেটা মনে হয় ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে।
দাঁড়ান, দাঁড়ান। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব তৈরি হয়ে গেলে আরও বেশি করে উপকৃত হবেন পুরুলিয়ার আম নাগরিক। যেমন অমৃতসর-কলকাতা হাইওয়ে পাশ করবে একেবারে রঘুনাথপুর হয়ে। এছাড়া বেনারস-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে যাবে এই পুরুলিয়া হয়েই। অর্থাৎ পুরুলিয়ার যে ছবিটা আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, সেটা ভবিষ্যতে আরও আরও ওপরে উঠবে। একটা ম্যাসিভ গ্রোথ লক্ষ্য করা যাবে। কিন্তু সেখানেও যে রয়েছে বিরোধী খোঁচা। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি বা অন্যান্য বিরোধী দলগুলো যেভাবে রাজ্য সরকারকে এই বিনিয়োগ আনার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যঙ্গ, পরিহাস করছে তারপর প্রশ্নটা উঠেই যায়, তাহলে কি পুরুলিয়ায় আবার স্বপ্নভঙ্গ হল শিক্ষিত যুবাদের? সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা ভাবেন সেটাই করেন। মানে তিনি এক কথার মানুষ। ওকে, ঠিক আছে। তাহলে এই প্রোজেক্ট কমপ্লিট হবে কত দিনে? মনে করা হচ্ছে ২০২৫-এই। আর সেটাই যদি হয়, তাহলে পুরুলিয়ার রুখা ভাগ্যে একটা ম্যাসিভ চেঞ্জ আসতে চলেছে তো নাকি বলুন? আপনাদের কাছে এই সম্পর্কে যদি নতুন কোন তথ্য এসে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানান। আর লাইক, শেয়ার তো মাস্ট। সঙ্গে সাবস্ক্রাইব করতেও ভুলবেন না যেন।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ