Market

সুখবর চা রপ্তানিকারকদের জন্য। ইরানে চা রপ্তানি হতে পারে ৩৫ মিলিয়ন কেজি। গত বছরের থেকেও যা অনেকটাই বেশি। আর এই চা রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ ভারত এবং ইরানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক। আমেরিকার মধ্যস্থতা সত্ত্বেও যে সম্পর্কে ভাটা নামেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানে চা রপ্তানি করার পর তাঁদের আয়ের পথ তৈরি হচ্ছে আরব বা তুর্কির পেমেন্ট রুট দিয়ে। ফলে ইরানে এত দীর্ঘ বছর ধরে চা রপ্তানি করার জন্য কোনভাবেই বাধা তৈরি হয়নি। যার প্রভাব পড়েছে এই বছরের ব্যবসাতেও। উল্লেখ্য, গত বছরে যেখানে ৩০ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছিল এই বছরে নজিরবিহীনভাবে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে আরও ৫ মিলিয়ন কেজি।
সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর তেহরান সফরের সময় জানিয়েছিলেন, ভারত এবং ইরানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করার পাশাপাশি এই দুই দেশের পেমেন্ট সিস্টেমের আরও অনেকটাই উন্নতি ঘটবে। বিদেশমন্ত্রীর এই আশার বার্তাই ভারতের চা রপ্তানিকারকদের মধ্যে নতুন করে উতসাহ জুগিয়েছে। তাঁরা মনে করছেন এই বছরের শেষে রপ্তানির অঙ্কটা পৌঁছে যেতে পারে ৫০ মিলিয়ন কেজিতে। অন্যদিকে চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ভারত চা আমদানি করেছে ৭.৩৩ মিলিয়ন কেজি।
তবে অতিমারির ধাক্কা খেয়ে এমনিতেই চা শিল্পে বেনজির সংকোচন ঘটে। যে কারণে গত বছরের মত ভারত যে ২০৭ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করেছিল এই বছরেও সেই অঙ্ক পূরণ করা সম্ভব হবেনা। তবে এটাও ঠিক যে চা রপ্তানিতে ভারতকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলছে কেনিয়া। এখন দেখার বিদেশমন্ত্রীর আশ্বাস পাওয়ার পর ভারতের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সম্পর্কে চা শিল্প সত্যিই তৃপ্তি এনে দিতে পারে কিনা।
ব্যুরো রিপোর্ট