Trending

প্রতিমুহূর্তে করোনার আপডেট পাচ্ছে দেশবাসী। কখন বাড়ছে সংক্রমণ, কত বাড়ছে দৈনিক মৃত্যু, কখনই বা কমছে সংক্রমণের হার, অক্সিজেনের ঘাটতি থেকে হাসপাতালে শয্যার হাহাকার- সব খবরই নিমেষের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে সঠিক তথ্যের খবর তেমনই অনেক সময় মানুষের কাছে করোনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে গুজব। মিথ্যা খবরে বিভ্রান্তি বাড়ছে সাধারণের মধ্যেও।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই এক ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে অনেকটাই। যেখানে বলা হয়, ভারতে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ি নাকি ৫জি নেটওয়ার্ক! আর এই খবরে আতঙ্কতৈরি হয় মানুষের মধ্যে কারণ ৫জি যে ভারতের নেটওয়ার্কে আর কিছুদিনের মধ্যেই জাঁকিয়ে বসতে চলেছে, সেই খবরও জানেন প্রত্যেকেই।
খবরটি এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে বাধ্য হয়ে আসরে নামতে হয় ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনকে। জানানো হয়, এই খবরটি একেবারে ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। কারণ করোনা সংক্রমণের সঙ্গে ৫জি নেটওয়ার্কের কোন সম্পর্ক নেই।
কেন ভুয়ো তাও জানানো হয়েছে বিশদে। বলা হয়েছে, মোবাইল টাওয়ার থেকে বের হয় নন আয়োনাইজিং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। যা মানুষের শরীরে বা কোন জীবিত কোষে কোনরকম ক্ষতি করে না। এমন একটি ভুয়ো খবর গতবছর ইওরোপ জুড়েও চালু হয়েছিল। তখন মাঠে ময়দানে নেমে মানুষের মনে বিভ্রান্তি দূর করেন ব্রিটেন মন্ত্রীসভার সদস্যরা।
ইতিমধ্যেই সমস্ত টেলিকম সংস্থাগুলিকে ৫জি ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। জিও থেকে এয়ারটেল প্রত্যেককেই সেই নির্দেশ পাঠিয়েছে টেলিকম দপ্তর। এরমধ্যে যদি ভুয়ো খবর ছড়াতে শুরু করে তাহলে ৫জি পরিষেবা চালু হবার আগেই সাধারণের মধ্যে তৈরি হবে আতঙ্ক। ধাক্কা খাবে ৫জি পরিষেবা। তাই তড়িঘড়ি আসরে নামল টেলিকম মন্ত্রক।
ব্যুরো রিপোর্ট