Market

সুরাতে হিরে ব্যবসায় নজর কাড়ছেন মহিলারা। জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাস থেকেই ৩০ হাজার মহিলা কর্মী যোগদান করেছেন এই ব্যবসায়। যেখানে তাঁরা হিরে কাটা থেকে পালিশ করা সব কাজই করছেন চাহিদা মেনে। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে বহু মানুষের সংসারে নামে আর্থিক অনিশ্চয়তা। সংসারের হাল ধরতে তাই আসরে নামেন মহিলারা। আর সেই কারণে হিরে ব্যবসায় মহিলাদের ভিড়।
সুরাত এবং সৌরাষ্ট্রের হিরে ব্যবসা গোটা দেশের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির কেন্দ্র। হাজার হাজার কর্মীর রুটিরুজি যুক্ত হয়ে আছে এই ব্যবসার সঙ্গে। দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরে এবং লকডাউনের আতঙ্ক মাথায় নিয়ে বহু কর্মীই কাজের জায়গা ছেড়ে নিজের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। এখনও তাঁদের অনেকেই ফিরে আসতে পারেননি নিজের কর্মক্ষেত্রে। ২০% কর্মীর অনুপস্থিতি তাই বড় রকমের শূন্যতা তৈরি করেছিল। ফলে হিরে ব্যবসায় বড়সড় ভাটা হবার আশঙ্কা নেমে আসে ব্যবসায়ীদের মাথায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মহিলা কর্মীরা এই ব্যবসায় যোগদান করার কারণে সেই ভাটার আতঙ্ক অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। সূত্রের খবর, গত ৫ বছরে মহিলাদের হিরে ব্যবসায় শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে ৪% মত।
উল্লেখ্য, হিরে ব্যবসা পরিচালনার জন্য দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন পড়ে সবসময়। আর সুরাতের হিরের চাহিদা বছরের সবসময়েই থাকে তুঙ্গে। দেশীয় বাজার তো বটেই আন্তর্জাতিক বাজারেও সুরাতের হিরে ব্যবসার কদর অনেকটাই। জুন মাস পর্যন্ত ভারত হিরে রপ্তানি করেছে ৪৫,৭৪১.৫২ কোটি টাকার। ঠিক এক বছর আগেও যেখানে এই সময় পর্যন্ত হিরে রপ্তানি করে ভারতের কোষাগারে ঢুকেছিল ১৩,৬৩৮.০২ কোটি টাকা। তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে হিরের চাহিদা বাড়লেও পাল্লা দিয়ে কিন্তু হিরের দামও ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে। তাই সেই বিষয়টাও মাথায় রাখছেন তাঁরা। অতিমারির কারণে খনি বন্ধ থাকায় হিরের জোগানও কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে, হিরে ব্যবসা আবারও মুখ ঘুরিয়ে আগের মত দাঁড়াবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যেই ব্যবসায় আবার স্থিতি আসবে এই ভেবেই মহিলা কর্মীদের সৌজন্যে জোর তৎপরতায় চলছে হিরে ব্যবসা।
ব্যুরো রিপোর্ট