Daily
প্রকাশিত হল ২০২২ এর মাধ্যমিকের রেজাল্ট। শুক্রবার সকালে এক সাংবাদিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের নাম প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এবার গোটা মেধাতালিকা জুড়ে রয়েছে জেলার জয়জয়কার। প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন ১১৪ জন।
মাধ্যমিকে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার অর্ণব ঘোড়াই এবং বর্ধমানের রৌনক মণ্ডল। বাঁকুড়ার রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের ছাত্র অর্ণব এবং পূর্ব বর্ধমানের সিএমএস স্কুলের ছাত্র রৌনক, দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। মাধ্যমিকে অসাধারন রেজাল্ট করায় খুশি কৃতি ছাত্রছাত্রীদের পরিবার। বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় বাঁকুড়ার অর্ণব।
৬৯২ পেয়ে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন মালদহ আদর্শবাণী অ্যাকাডেমি স্কুলের ছাত্রী কৌশিকী সরকার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাই স্কুলের ছাত্র রৌনক মণ্ডল। মাধ্যমিকে আশাতীত ফল করে রীতিমত খুশির জোয়ার বইছে জেলাজুড়ে। বরাবরের মেধাবী ছাত্র রৌনক। তিনি জানান, তার এই ভালো রেজাল্টের নেপথ্যে রয়েছে তার মা, বাবা, দিদি এবং স্কুলের শিক্ষকরা।
ওদিকে মেয়ের দুর্দান্ত রেজাল্ট দেখে খুশির হাওয়া বইছে মালদার কৌশিকীর বাড়িতেও। স্কুলের শিক্ষকেরা যেমন সহযোগিতা করেছেন তেমনই উৎসাহ জুগিয়েছে পরিবারের লোকজন। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চান কৌশিকী।
আসানসোলের অনন্যা দাশগুপ্তর (তৃতীয়) এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধানের(তৃতীয়) প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। ৬৯০ নম্বর পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন ৪ জন। যাদের মধ্যে রয়েছেন কোলকাতার পাঠভবনের শ্রুতর্ষী ত্রিপাঠী, আলিপুরদুয়ারের অভিক দাস, মালদার অভিষেক গুপ্ত, হুগলীর সাগ্নিক কুমার দে।
মেধাতালিকায় ১১ জনের নাম রয়েছে পঞ্চম স্থানে (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯)। ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ৬ জন (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮)। সপ্তম স্থানে রয়েছেন ১০ জন (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭)। ২২ জনের নাম রয়েছে অষ্টম স্থানে (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। মাধ্যমিকে মেধার নিরিখে এবারেও এগিয়ে রইলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলা।