Daily

কিটবিদ্যা জগতে আলোড়ন তোলার মত আবিষ্কারের সাক্ষী থাকলো বিজ্ঞানমহল। ছোট একটা প্রাণী অথচ ১০০০ টা পা! হয় নাকি? হয় হয়! আর শুধু ১০০০ নয়। মিলিয়ে ঝুলিয়ে দেখতে গেলে, সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১৩০৬ তে। হ্যাঁ। এমনই এক অদ্ভুত প্রাণীর সন্ধান দিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদরা। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার খনি সংলগ্ন অঞ্চল, বিশেষত যেখানে সোনার খনি বা লিথিয়াম ও ভ্যানাডিয়ামের মতো খুব দুর্লভ খনিজের খনি রয়েছে, সেই অঞ্চলেই খোঁজ মিলেছে এই অজানা প্রাণীর। যদিও মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তাদের। তবে একটা নয়। হদিশ মিলেছে এমন চারটি প্রাণীর।
ইউএসবি কেবল এর মত পাতলা আর চওড়ায় ১০ সেমির আশেপাশে দৈর্ঘ্যে এই প্রাণীটিকে অভিসারী বিবর্তনের একটি উদাহরণ বলে ঘোষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। মৃত এই প্রাণীর জন্ম, ঠিকানা আর পরিবারের সদস্যের খুঁটিনাটি জানতে জোরকদমে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন বাদামি বর্ণের বহু পদবিশিষ্ট এই প্রাণীটি আসলে কেন্নো গোত্রের। পুরুষ প্রাণীর শরীরে রয়েছে ৯৯৮ টি পা, আর স্ত্রী প্রাণীর শরীরে আছে ১৩০৬ টি পা। তিনকোণা মাথা, বকের ঠোঁটের মতো মুখ, বড়ো বড়ো শুঁড়ওলা এই প্রাণীটির কিন্তু কোনও চোখ নেই। গবেষকদের আন্দাজ, শুঁড়ের মাধ্যমেই তারা গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে। পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশ থেকে ২০০ ফুট নিচেও দিব্বি টিকে থাকতে পারে এরা।
এর আগেও বহুপদ বিশিষ্ট কেন্নো গোত্রীয় প্রাণীর খোঁজ পেয়েছিলেন কীটতত্ত্ববিদরা, যার পায়ের সংখ্যা ছিল ৭৫০। আর এবারের হদিশ মেলা এই প্রাণীর নাম জীববিজ্ঞানের ভাষায় – ইউমিলিপেস পারসেফোরি। বহুপদবিশিষ্ট এরকম প্রাণীর খোঁজ জারি রয়েছে এখনও। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এরকম আরও প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে এই পৃথিবীতেই।
ব্যুরো রিপোর্ট