Daily
অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান আর নিখিল জৈনকে ঘিরে এখন সমাজ মাধ্যমে উঠেছে তুমুল ঝড়। এদের দুজনের সম্পর্ক এখন ‘ টক অফ দা টাউন ‘ এ পরিণত হয়েছে।
সুদূর তুরস্কে এই সেলিব্রিটিদের বিয়ে, কলকাতায় রিসেপশন, নেতা-মন্ত্রী থেকে ভারতের পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণ সবকিছুই জড়িয়ে রয়েছে এই সম্পর্কে।
সম্প্রতি খবরের শীর্ষে আসে মা হতে চলেছেন নুসরাত জাহান। যদিও এর কয়েকদিন আগেই শহরের সিভিল কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন নিখিল জৈন। এরপরেই নীরবতা ভঙ্গ করেন এই তারকা সাংসদ।
নুসরাত বিবৃতিতে এই দাবি করেন, নিখিলের সঙ্গে কোন বৈবাহিক সম্পর্ক ছিলনা। ছিল শুধুই লিভ ইন সম্পর্ক। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে যেহেতু বিয়ে, আর সেই বিয়ে যেহেতু ভারতের স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী হয়নি, তাই এই বিয়ে আইনসিদ্ধ নয় বলেও নুসরাত দাবি করেন। এমনকি তারকা সংসদের আরো অভিযোগ, নিখিলের পরিবার তার শাড়ি, গয়না, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সবকিছুই আটকে রেখেছে। যদিও নুসরাতের অভিযোগ সম্পর্কে, নিখিলের পরিবার সূত্রে কোনকিছুই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
এই সম্পর্ক ঘিরে তৈরি হয়েছে বেশকিছু আইনি জটিলতা। শহরের নামকরা আইনজীবীদের বক্তব্য, নুসরাত জাহান ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে হলফনামা দিয়ে দাবি করেছিলেন তিনি বিবাহিত। তাহলে তিনি এখন কিভাবে দাবি করেন বিয়ে আইনত হয়নি। এক্ষেত্রে নুসরাতের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হতে পারে। এমনকি তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্রের কোন নির্বাচক মন্ডলী অনায়াসেই তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
নুসরাত জাহান যেহেতু ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য, একজন পার্লামেন্টেরিয়ানের কাছ থেকে আর যাই হোক হলফনামায় সত্যি কথাটাই আশা করে দেশের জনগণ। সেক্ষেত্রে নুসরাত জাহান দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন বলেও আইনজীবিদের অভিমত।
আইন-আদালত শেষ পর্যন্ত নুসরাত জাহান মামলায় কি রায় দেয় সেদিকে যেমন নজর থাকবে তেমনি নজর থাকবে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে এই তারকা সাংসদের বিরুদ্ধে লোকসভায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা সেদিকেই।
ব্যুরো রিপোর্ট
বিজনেস প্রাইম নিউজ