Story

চাষের কাজে বাংলার চাষিরা জমিন আসমান এক করে দেন। বিগত কয়েক বছর ধরে সেই ট্র্যাডিশনে নেমেছিল খরা। বিশেষত, ধান থেকে মুখ ফিরিয়ে ছিলেন বাংলার চাষিরা। এবার আধুনিক প্রযুক্তিতে একেবারে হাতে-কলমে ধান চাষ করে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা কৃষকদের ঘরে তুলে দিলেন লাভের ফসল। লাভের ফসল ঘিরে এখন সোনালী হাওয়া বইছে দেগঙ্গার কলসুর গ্রামের সাড়ে তিনশো’রও বেশি কৃষক পরিবারে।
তাই এখানকার কৃষকরা আওয়াজ তুললেন, দেখবে লাভ, করবে লাভ যদি করো প্রযুক্তিতে চাষ। ষাটের দশকের যখন খাদ্য সংকট তৈরি হওয়ার কারণে পঞ্চনদের দেশের হয়েছিল গমের ওপর সবুজ বিপ্লব। তাই এখানেও যাতে ধানচাষিদের মনোবল না ভাঙে তার জন্য এগিয়ে এলো কৃষি দফতর। পূর্ব ভারতের সবুজ বিপ্লব আনয়ন প্রকল্পে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা ব্লকের কলসুর গ্রামে কম খরচে ধান চাষ করে ভালো রকম লাভের মুখ তো দেখছেন ৩৫০ কৃষক। চাষ হচ্ছে উচ্চফলনশীল ধানের। মোট ১০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে এই ধান।
শুধু ধানচাষই নয়। কৃষকদের উৎসাহ দিতে ঐ একই জমিতে চাষ করা হবে সরিষার। কিভাবে হবে? কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই সহায়তাও দিচ্ছেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা।
প্রত্যন্ত গ্রামবাংলার এই কৃষকদের পক্ষে সবসময় কৃষি দফতরে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই আধিকারিকরা নিজেরাই চলে আসেন এখানে। গ্রামের কৃষকদের দিশা দেখানোর চেষ্টায় কোনরকম ত্রুটি রাখেন না। উৎপাদন ভালো হওয়ার জন্য চাষিরা সন্তুষ্ট। সেই সুরও ধরা পড়ল খোদ কৃষকের গলায়
ধানের রাজ্য বাংলা। আর সেখানেই কিনা ধানচাষ থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন কৃষকেরা? কিন্তু আজ কৃষি দফতরের সহযোগিতার জন্য জমিতে সারি সারি ধানের শিসগুলো হাওয়ায় দুলে উঠছে। জমিতে ধানের ফলন যেন জানিয়ে দিচ্ছে, সব মানুষের মুখে উঠবে একমুঠো অন্ন। যে অন্নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কৃষি দফতর। উৎসাহে জমিতে নেমেছেন কৃষকেরা। শস্য শ্যামলে ভরে উঠেছে দেগঙ্গার ব্লকের কলসুর গ্রাম।
দেবস্মিতা মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনা