Story
বি পি এন ডেস্ক: কথায় আছে বুদ্ধি যস্য, বলং তস্য। এ যুগে এই প্রবাদটিকেই সম্পূর্ণ বদলে দিয়ে নতুন মোড়কে হাজির করলেন ম্যানেজমেন্ট গুরুরা। এই বিজনেস ম্যাগনেটদের বক্তব্য বুদ্ধি যস্য, ব্যবসা তস্য। বুদ্ধি যেখানে ব্যবসা সেখানেই। ব্যবসা হবে এমন যা পুঁজির বাজেটেও ফিট আর স্বাস্থ্যে অর্থাৎ লাভের বহরেও এক্কেবারে ফিট। ভাবছেন তো বিনিয়োগের এই মেগা বাজেটে এমন কিছু সত্যিই আছে নাকি? অল্প পুঁজিতে বাজারে সহজেই কিস্তিমাতের ব্যবসা রয়েছে এই বাংলায়। যা আপনি নিজের বাড়িতে কিংবা নিজের অব্যবহৃত গ্যারেজের ছোট্ট জায়গাতেও করতে পারেন। অল্প পুঁজিতে বাড়িতে বসে বা বাজারে দোকান নিয়েও শুরু করতে পারেন পিভিসি ফার্নিচার তৈরির ব্যবসা। যা আপনাকে নিশ্চিতভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। পুঁজির পরিমাণ বা কতটা জায়গা দরকার হয় এর জন্য? সেই আলোচনায় আসার আগে দেখে নেওয়া যাক কি এই পিভিসি। যা উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তকে দৈনন্দিন জীবনে একই সুতোয় বেঁধে রেখেছে। পিভিসির পুরো নাম- পলিভিনাইল ক্লোরাইড। যেটা রেজিন বেসড একটি উপাদান। জল বা ময়েশ্চার প্রতিরোধক একই সঙ্গে অগ্নিনিরোধকও। এই উপাদান হাল্কা, সহজেই পরিবহনযোগ্য। পিভিসিতে কমবেশি ৪০ রকমের রঙ দেখা যায়। এর মধ্যে আইভরি গ্রে, স্কাই ব্লু, পলি ক্রিম, পেস্তা আর পিঙ্ক তো বেশ জনপ্রিয় বাজারে। পিভিসির বেশ কিছু ডিজাইনও বাজারে খুবই জনপ্রিয়। যেমন- আইভরি গোল্ড, ব্ল্যাক প্যান্থার, ইউরো মার্বেল ইত্যাদি। এর ডিজাইন ও শেড ক্রেতাদের নজর কাড়বেই কাড়বে। সবচাইতে বড় কথা, এটা ল্যামিনেটেড আর নন ল্যামিনেটেড দুইই হয়। বর্তমানে পিভিসি ব্যবহার হয়না বাড়ি বা ফ্ল্যাট দেখাই যায় না। আজকাল তো ইন্টিরিয়ার ডেকরেশনেও এর একছত্র আধিপত্য। বলা যেতে পারে, নেট যুগের জেট জীবনের নিত্য সঙ্গী এই পলিভিনাইল ক্লোরাইড। কতটা জায়গা দরকার এর জন্য শুরুতেই বেশি জায়গা লাগে না এর জন্য। মাত্র ২০০-৩০০ বর্গ ফুট দরকার। শুরুতেই বেশি লোক-লস্করের প্রয়োজন নেই। একমাত্র ব্যবসা বাড়লেই লোক বাড়ানোর প্রয়োজন হবে। কি কি কাঁচামাল কিনতে হবে এই ফার্নিচারের ব্যবসা করতে হলে মূলত কিনতে হবে তিনটি জিনিস। চ্যানেল, প্যানেল, আর ফ্রেম। এ সবই পাবেন এই রাজ্যেই। এর যাবতীয় উপাদান আমাদের রাজ্যে আসে মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই থেকে। কি কি যন্ত্রপাতি লাগে এই ব্যবসায় একটা ভালো ইলেকট্রিক ড্রিল। আর স্ক্রু ড্রাইভার, বাটালি, হ্যাক্স ব্লেড, হাতুড়ি, ওলন আর পরিমাপের টেপ। কোথায় পাবেন এসব এ সবই পাবেন কলকাতার চাঁদনি মার্কেটে। অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিভাবে তৈরি করবে এই ফার্নিচার ক্যাটালগ দেখে ক্রেতা পছন্দ করলেই ব্যবসায়ী নিজেই সেগুলি অ্যাসেম্বেল করে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ক্রেতার পছন্দের ফার্নিচার। বিক্রি করবেন কোথায় সরাসরি ক্রেতাকে কিংবা প্রমোটার বা কাঠের ফার্নিচারের দোকানেও বিক্রি করতে পারেন। লাভের পরিমাণ সরাসরি ক্রেতাকে বিক্রি করলে ব্যবসায়ীর লাভের পরিমাণ ৩০-৪০ শতাংশ। আর থার্ড পার্টিকে বিক্রি করলে সেই পরিমাণ হয় ২০-২৫ শতাংশ। আখেরে এই ব্যবসা সহজেই আপনাকে নিজের পায়ে দাঁড় করাবেই করাবে।। ব্যুরো রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ